পরিচালকের বানী

এই দেশকে নিয়ে একেকজন এক এক ভাবে ভেবেছে। কেউ ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। কেউ স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে আবার কেউ ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য উৎসর্গ করেছে নিজের জীবন। বাংলাদেশের ৮৬০০০ গ্রামের মধ্যে আমার জন্ম জামালপুর সদর উপজেলার খাস হাসিল গ্রামে। আমি যতটুকু বুঝেছি সমাজ ও দেশকে পরিবর্তনের জন্য প্রথমে যে জায়গায় পরিবর্তন দরকার তা হলো শিক্ষা ব্যবস্থার। সময়ের সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন ব্যবস্থা, জীবনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। মানুষ হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর। আর নিজেকে পরিবর্তনের জন্য দরকার যুগোপযোগী প্রযুক্তি নির্ভল শিক্ষা।
আর তাই আমি আমার সামান্য সংগতি ও প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জামালপুর শহরে প্রতিষ্ঠা করি জসিম উদ্দি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জসিম উদ্দিন সরকার ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, জসিম উদ্দিন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, জসিম উদ্দিন নার্সিং ইনস্টিটিউট, জসিম উদ্দিন এডভান্সড টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে বড় অন্তরায় মনে হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায়। কারণ শহর ও গ্রামের স্কুল থেকে পাশ করা ছেলে মেয়েদের শিক্ষার মানের পার্থক্য সুস্পষ্ট। চাকরী প্রাপ্ত্রি ক্ষেত্রেও শহরের ছাত্র-ছাত্রীর তোলনায় গ্রামের ছেলে মেয়েরা অনেক পিছিয়ে। এই বৈষম্যের মূল কারণ আমার মনে হয়েছে গ্রামের স্কুলগুলোর শিক্ষা দান পদ্ধতি। আর প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রাচীন শিক্ষার ধ্যান ধারণা আমূল পরিবর্তন এনে, বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য দূর করে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে খাস হাসিল গ্রামে গড়ে তুলি মতিয়র রহমান একাডেমি যার তত্বাবধানে প্রথম শুরু হয় মতিয়র রহমান স্মৃতি কিন্ডার গার্টেন।
প্রতি বছরের রেজাল্টের ধারাবাহিক সাফল্য এলাকাবাসীর প্রত্যাশার প্রাঙ্গন সুদূর প্রসারিত হতে থাকে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণের মনের চাহিদা মিটাতে মতিয়র রহমান একাডেমির উপদেষ্টামন্ডলী, পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী বাধ্য হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার কলবর থেকে বেরিয়ে এসে উচ্চ শিক্ষার কথা ভাবতে। পরবর্তীতে গ্রামবাসীর মনের চাহিদা মিটাতে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের নাম করণ করেছি আমার নিজ গ্রাম খাস হাসিল এর নামে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১০০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মনের চাহিদা মিটাতে অচিরেই কলেজ শাখার কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সফল হলে ভাববো দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে সমর্থ হয়েছি।